মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক প্রয়োগে কপাল পুড়ল ৩ কৃষকের
নাটোরের গুরুদাসপুরে মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক প্রয়োগে সাড়ে চার বিঘা জমির রসুন নষ্ট হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পরেছেন তিন কৃষক। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের শিধুলী গ্রামে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত তিন কৃষক মো. নুর ইসলাম, রিপন আলী ও আনিস আলী ওই গ্রামের বাসিন্দা।
কৃষক নুর ইসলাম জানান, গত ৫ নভেম্বর মেসার্স স্বপ্না ট্রেডার্স পাটপাড়া বাজারের কীটনাশক বিক্রেতা শাহীন আলমের দোকান থেকে প্রায় সাড়ে ৪ বিঘা রসুনের জমির জন্য বিভিন্ন প্রকার জিংক, বোরাক্স, জেনিভিট, সালফেট ও বোরন নামক ওষুধ কিনে জমিতে প্রয়োগ করি।
আমরা লেখাপড়া না জানায় ওষুধের প্যাকেটের মেয়াদ নির্ণয় করতে পারিনি। তবে বিক্রেতাকে বিশ্বাস করে ওষুধ জমিতে প্রয়োগ করি। কীটনাশক প্রয়োগের কিছুদিন পর দেখতে পাই, রোপণকৃত রসুনের শিকড় গজাচ্ছে না।
পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হলে এক সালিশি বৈঠকে তিনি বিবাদীকে ডেকে আমাদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য বলেন। কিন্তু বিবাদী চেয়ারম্যানের নির্দেশ অমান্য করে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন না। এখন আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে পরেছি। সাড়ে চার বিঘা জমিতে প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমরা এ ক্ষতিপূরণ চাই।
ধারাবারিষা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন জানান, এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অভিযুক্ত কীটনাশক বিক্রেতাকে। তবে ক্ষতিপূরণ না দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত কীটনাশক বিক্রেতা শাহীন আলম মুঠোফোনে বলেন, আমি খুব ব্যস্ত। এ বিষয়ে পরে কথা বলছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কৃষকরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।